কোহলি আর দাদাভক্ত নন, বিরাটের জীবন থেকে হঠাৎ উধাও সৌরভ !!

হোয়াটস্যাপ গ্রুপ জয়েন
Google News Follow

আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB) বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস (DC) ম্যাচের পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সাথে হ্যান্ডশেখ করেননি। তারপরেই বিরাট বড় পদক্ষেপ নিলেন। নিজের সমাজ মাধ্যমের পাতা থেকে তিনি সৌরভকে সরিয়ে দিলেন।

ইনস্টাগ্রামে বিরাট 276 জনকে অনুসরণ করেন। এতদিন সৌরভও সেই তালিকায় ছিলেন। কিন্তু শনিবারের ম্যাচের পর বিরাট সৌরভকে অনুসরণ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। যদিও পরে তিনি আরো একজনকে অনুসরণ করা শুরু করেছেন। তার ফলে বিরাট সেই 276 জনকে অনুসরণ করছেন।

বিরাট বন্ধ করলেও কিন্তু সৌরভ সেটা করেনি। সৌরভ ইনস্টাগ্রামের পাতায় এখনো বিরাটের নাম জ্বলজল করছে। অবশ্য সেটা কতদিন থাকবে তা এখন নিশ্চিত নয়। কারণ তাকে বিরাট সরিয়ে দেওয়ার পরে নিজের সমাজবাদাম থেকে সৌরভ বিরাটকে সরিয়ে দিতে পারেন।

দিল্লি-বেঙ্গালুরু ম্যাচে সৌরভ বিরাটের মধ্যে দুটি ঘটনা ঘটেছিল। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল দিল্লির ইনিংসের 18 তম ওভারে। দিল্লি আরসিবির বিরুদ্ধে 175 রান তারা করতে নেমে চাপে পড়ে যায়। ভালো খেলেছিলেন অমন হাকিম খান। 10 বলে 18 রান করে তিনি আউট হন। বিরাট অমনের ক্যাচটি ধরেন। তারপর তিনি দিল্লি ডাগআউটার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকান। তখন সেখানে বসে ছিলেন দলের ‘ডিরেক্টর অব ক্রিকেট’ সৌরভ।

সৌরভ সেই সময় পাল্টা কোন অভিব্যক্তি না দিলেও ম্যাচ শেষে বোঝা গিয়েছিল যে বিরাটের সাথে তিনিও কথা বলতে চান না। দুই দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা ম্যাচ শেষে একে অপরের সাথে হ্যান্ডশেখ করছিলেন। সৌরভের ঠিক সামনেই দিল্লির কোচ রিকি পন্টিং ছিলেন। যখন বিরাটের সাথে তিনি হ্যান্ডশেখ করছিলেন, তখন পন্টিংকে টোপকে সৌরভ বিরাটের পরে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রিকেটারদের সাথে হ্যান্ডশেখ করেন। এর ফলে দু’জনের সাক্ষাৎ হয়নি।

যখন বিরাট ভারতীয় দলের অধিনায়ক ও সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি ছিলেন তখন থেকে বিরাট ও সৌরভের এই তিক্ততা চলছে। ভারত 2021 সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়ার পরে বিরাট দলের নেতৃত্ব ছাড়েন ছোট ফরম্যাটে। তারপরে সৌরভ জানিয়েছেন, বিরাটকে নেতৃত্ব ছাড়তে তিনি নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু বিরাট শোনেননি। দুজন অধিনায়ক সাদা বলে ক্রিকেটে রাখা মুশকিল। তাই বিরাটকে সরিয়ে দেওয়া হয় একদিনের দলের নেতৃত্ব থেকে। কয়েক মাস পরে বিরাট টেস্ট দলের অধিনায়কত্বও ছেড়ে দেন।

পরে বিরাট একটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, তাকে কেউ নিষেধ করেননি নেতৃত্ব ছাড়তে। এমনকি তাকে একদিনের দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তার সাথে আলোচনা না করে, তিনি অভিযোগ করেন। এখনো পর্যন্ত সেই বিবাদ চলছে।