“আমি ধোনির জার্সি নম্বর পাই…”- ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডাচ তারকা ব্যাটার মাহি ঘোরে বুঁদ !!
মহেন্দ্র সিং ধোনির বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার দ্যুতি এতটা বেশি যে, ক্রিকেট বিশ্বে তার প্রভাব বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এর একটি বড় উদাহরণ হল, বিক্রমজিৎ সিং। সাত নম্বর জার্সি পড়া নিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেদারল্যান্ডসের তারকা ব্যাটার সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। ধোনি ভারতের হয়ে খেলার সময় সাত নম্বর জার্সি পড়ে খেলতেন। এমনকি চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলার সময়ও ধোনি সাত নম্বর জার্সি পড়েছিলেন। যে কারণে এখন ক্রিকেট বিশ্বে সাত নম্বর জার্সি সুপারহিট।
বিক্রমজিৎ সিং বলেছেন যে, যেহেতু ধোনির জার্সি নম্বর সাত ছিল, সেই কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি প্রচুর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পান। আইসিসির পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ‘এটি সম্পর্কে আমি অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া পাই। ধোনির জার্সি নম্বর পড়ে আমি খেলি। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর লোক এই সাত নম্বর জার্সিকে ভালোবাসেন। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমএস ধোনির প্রচুর ভক্ত আছে। আমার প্রিয় নম্বর হলো ১০ এবং দুর্ভাগ্যবশত সেই নাম্বারটি পেয়েছে টিম ভ্যান ডের গুগেন। তাই সাত নম্বর হলো আমার পরবর্তী প্রিয় নম্বর এবং তাই আমি এটি পেয়েছি।’
বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ড স্কটল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এই ম্যাচে বিক্রমজিৎ সিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ওপেনার বিক্রমজিৎ ম্যাক্স ও’দাউদের সাথে ২৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৬৫ রান করেন। নিজে ৪৯ বলে ৪০ রান করে আউট হয়ে যায়। এই দিন ব্যাটে-বলে বাস ডি’লিড ধামাকা ঘটিয়ে কার্যত ডাচদের জন্য একাই ভারতে আসার টিকিট নিশ্চিত করে দেন। প্রথমে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তারকা অলরাউন্ডার এবং তারপর দুর্দান্ত ছন্দে ৯২ বলে ১২৩ রান করেন। এবং ডাচেরা তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের হাত ধরে ৪৩ ওভারের মধ্যে তাড়া করে চার উইকেটে তারা জয় ছিনিয়ে নেয়।
অবশ্য নেদারল্যান্ডস শুরুতে একটু নড়বড় করছিল। একটা সময় ১০৮ রানের চার উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা। কিন্তু স্কটল্যান্ডের করা ৯ উইকেটে ২৭৭ রানের জবাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন ডি’লিড। সাতটি চার এবং পাঁচটি ছক্কায় তার ১২৩ রান সাজানো ছিল। নিঃসন্দেহে নেদারল্যান্ডকে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নিয়ে যাওয়ার প্রধান কারিগর হলেন বাস ডি’লিড। কারণ নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে স্কটল্যান্ড অ্যাডভান্টেজ ছিল।
স্কটিশরা হেরে গেলেও বিশ্বকাপের ছাড়পত্র পাওয়ার সুযোগ থাকতো, যদিও কম ব্যবধানে হারতো। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বাস ডি’লিড অঙ্কের যাবতীয় হিসেব পাল্টে দেন। তাঁর দাপুটে বোলিং এবং ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের হাত ধরেই রানরেটে এগিয়ে থেকে কমলা ব্রিগেড বিশ্বকাপে ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। স্কটিশদের সাথে তাদের পয়েন্ট সমান ছিল। দুই দল ছয় করে পয়েন্ট পায়। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে ডাচেরা বাজিমাত করলো।
