ধোনির ৩ টি সিদ্ধান্ত যা বদলে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটকে !!

টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক, সবাই এককথায় ক্যাপ্টেন কুল নামে চেনেন, যার ভালো নাম ‘ মহেন্দ্র সিং ধোনি ‘ (Ms Dhoni) সারাবছরই ট্রেডিং। শেষবার এর মত ধোনি ভারতীয় দলের জার্সি তে মাঠে নেমেছিল ২০১৯ সালে। ভারতীয় দল এনার নেতৃত্বে তিনবার আইসিস ট্রফি জিতেছে। ধোনির নেতৃত্বে ভারত শেষবার আইসিস ট্রফি পায় ইংল্যান্ড কে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফাইনালে হারিয়ে। শুরুর দিকে এমএস ধোনি ভারতের হয়ে উইকেট কিপিং ও ব্যাটিং করতেন, ২০০৭ সালে অধিনায়ক হিসেবে তিনি দলের নেতৃত্ব পান, নেতৃত্ব পাওয়ার বছর ৬ এর মধ্যেই ইন্ডিয়ার ঘরে চলে আসে তিনটি আইসিসি ট্রফি। দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, ৯০টি টেস্ট ম্যাচে ৩৮.০৯ গড়ে ৪৮৭৬ রান করেছেন।
ভারতীয় ক্রিকেট দল । বিশ্বকাপ ২০২৩ । IND vs PAK । রোহিত শর্মা । বিরাট কোহলি । সৌরভ গাঙ্গুলি । এম এস ধোনি । সচিন তেন্ডুলকর।
৩৫০ টি ওডিআই ম্যাচে ৫০.৫৮ গড়ে ১০৭৭৩ রান তিনি করেছেন। ৯৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি করেছেন ১৬১৭ রান। এবং আইপিএল এ ২৫০ ম্যাচে ৫০৮২ রান করেছেন এমএস ধোনি। ভারতীয় ক্রিকেটে ধোনির অবদান অনেক বেশি যা ভারতীয় সমর্থকরা কোনদিনও ভুলতে পারবেনা। ধনীর অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে ভারতে তিনটি আইসিসি ট্রফি তো এসেছেই সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট টিমে ফিল্ডিংয়ের একটা বড়সড় পরিবর্তন দেখেছি আমরা। এছাড়া ওনার বিদ্যুতের থেকেও দ্রুত স্ট্যাম্পিংও আমরা দেখেছি আর এজ এ ফিনিশার হিসেবে ধোনিকে দেখা গেছে বহুবার, বলাই যেতে পারে বেস্ট ফিনিশার। পাশাপাশি যে কোন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ বের করার ক্ষমতা তো ধোনির ছিলই, সকল পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখতেন বলেই আজ তার নাম ক্যাপ্টেন কুল।
READ MORE:এমএস ধোনির নেওয়া এই সিদ্ধান্ত রাতারাতি বদলে দেয় ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কে !!
১. ২০০৭ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যোগীন্দর শর্মাকে ভরসা করা:-
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে ফাইনাল ওভারে মহেন্দ্র সিং ধোনি সিদ্ধান্ত নেন, পাকিস্তানের মিসবাহুল হকের বিরুদ্ধে যোগীন্দর শর্মাকে বোলিং করাবেন। এদিকে ভারতের অন্যতম অফ-স্পিনার হরভজন সিংয়ের ১টি ওভার বাকি ছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় লাভ করতে পাকিস্তানের দরকার ছিল শেষ ওভারে ১৩ রান। মেজবাউল হক তখন ক্রিজে সেট অবস্থায় ছিলেন, এবং দেখে মনে হচ্ছিল তিনি দলকে জিতিয়ে দেবেন। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনির সিদ্ধান্ত ঘুরিয়ে দেয় ম্যাচ। যোগীন্দর শর্মার হাতে বল তুলে দেন তিনি। শর্মা প্রথম তিন বলে মাত্র সাত রান দেন এবং তারপরের বলে মিসবাহউল হককে তুলে নেন এবং প্রথমবারের মতো আয়োজিত হওয়া টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ সুনিশ্চিত করেন ।
ঋষভ পন্থ । হার্দিক পান্ডিয়া । শুভমান গিল । গৌতম গম্ভীর । কে এল রাহুল । সূর্যকুমার যাদব । জাসপ্রিত বুমরাহ । জয় শাহ । রাহুল দ্রাবিড় ।
২. ২০১১ সালে যুবরাজের আগে ব্যাটিং করতে আসা:-
মহেন্দ্র সিং ধোনি জানতেন, ওই পরিস্থিতিতে যদি যুবরাজকে ব্যাটিংয়ে নামান মুরলি ধাওয়ানের সামনে যুবরাজ টিকতেন না, কারণ ধনী জানতেন আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস এর হয়ে নেটে মুরলীধাওয়ানকে দেখেছে বল করতে। মুরলীধাওয়ান যেমন ধরনের বল করতেন তা যুবরাজের উইক পয়েন্ট ছিল। সুতরাং ভারত খুব সংকটে পড়ে যেত যুবরাজ কে হারিয়ে। সেই জন্য মহেন্দ্র সিং ধোনি নিজেই ব্যাটিংয়ে চলে আসেন এবং একা হতে টিমের হাল ধরেন। এছাড়া গৌতম গম্ভীর এর করা ৯৭ রানের ইনিংস ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারপর মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং যুবরাজ সিং টিমের হাল ধরেন, ওয়ার্ল্ড কাপ জিততে সক্ষম হন। এককথায় বলাই যেতে পারে ধোনির বুদ্ধির জোরে ভারতকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছে।
৩. ২০১৩ সালে ইশান্ত শর্মার ওপর ভরসা:-
২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে ইশান্ত শর্মার বল কোনো কাজে দিচ্ছিল না, তিনি বহু রান খাচ্ছিলেন। তার রান খাওয়ার সত্ত্বেও ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি তার ওপর বিশ্বাস করে তাকে বোলিংয়ে দেন, তারপরেই হয়ে যায় মিরাক্কেল। ইয়ন মরগান এবং রবি বোপারার মতো দুর্ধর্ষ ব্যাটসম্যানকে আউট করেন ইশান্ত শর্মা, এবং ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়লাভ করেন ভারতবর্ষ।