Cristiano Ronaldo : বিশ্বকাপ ছাড়াই শেষ হল আন্তর্জাতিক কেরিয়ার, চোখের জলে মাঠ ছাড়লেন রোনাল্ডো

জীবনে সবকিছুরই একটা সমাপ্তি থাকে। সবকিছুকেই একদিন বিদায় দিতে হয়। সেটা ছোট বেলার স্কুল, বড়ো বেলার কলেজ বাড়ি হোক কিংবা ফুটবলের মাঠ। তেমনই ৩৭ বছর বয়সী ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) মাঠ ছাড়লেন কাঁদতে কাঁদতে। আজীবন দলকে জিতিয়েছেন বহুবার। নিজের ঘরে ট্রফির ক্যাবিনেট ভর্তি ট্রফিতে। তবুও ট্রফি ক্যাবিনেটের যে জায়গাটা ফাঁকা রেখেছিলেন আর ভেবেছিলেন ১৮ তারিখের ট্রফি দিয়ে ক্যাবিনেটের সেই ফাঁকা অংশটা পূরণ করবেন, সেটা আর পূরণ হল না।

পর্তুগালের (Portugal) ম্যানেজার ফার্নান্ডো স্যান্টোসের ভেবেছিলেন সুইৎজারল্যান্ড বধের স্ট্র্যাটেজিই কাজে লাগবে মরক্কোকে (Morocco) পরাস্ত করতে। তাই জন্যই দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারকে প্রথম একাদশে না রেখে দলকে অপরিবর্তিত রেখেছিলেন, একই স্ট্র্যাটেজি বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যে পর্তুগাল সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিন ৬ গোল করেছিল, সেই পর্তুগাল ১৮ তারিখের ম্যাচে একটাও গোল দিতে পারলো না। ৫০ মিনিটের মাথায় মাঠে নামেন রোনাল্ডো। রোনাল্ডো মাঠে নামার পরিবর্তন হয় খেলার গতিবিধি।

রোনাল্ডো গোল করার সুযোগ তৈরি করলেও, কিন্তু মরক্কোর ডিফেন্সের প্রাচীর ছিল শক্ত। সেই প্রাচীর টপকাতে পারেনি রোনাল্ডো ব্রিগেড। গোলরক্ষক বোনো প্রায় ১০টার কাছাকাছি শট একক দক্ষতায় বাঁচিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় মরোক্কো। রোনাল্ডোর বিগ্রেড গোল লক্ষ্য করে ১২টা শট নিয়েছিল। তারা কর্নার পায় ৯টা। কিন্তু গোল করা হয়ে ওঠেনি। ফলতঃ শেষরক্ষা হয়নি। জিতে যায় মরোক্কো।

কাতার বিশ্বকাপের আগে একটি সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডো জানিয়েছিলেন, তিনি ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত খেলবেন। ফলে এটিই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু বিশ্বকাপের ট্রফি জেতা হল না তাঁর। শেষ পর্যন্ত ১৯৭ তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে চোখের জলে মাঠ ছাড়লেন তিনি। তবে তাঁর রেখে যাওয়া মুহূর্তেরা, শিখিয়ে যাওয়া গোল বা গোল রক্ষার কায়দা মনে রাখবে তাঁর ভক্তরা।