৩৬ মিনিটে ডি’মারিয়ার গোলে ২-০ এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা

0
1

মরুর উত্তাপ বাড়াচ্ছে বিশ্বকাপ ফাইনাল। দোহায় রোববার (১৮ ডিসেম্বর) মুখোমুখি লাতিন ও ইউরোপের দুই পরাশক্তি আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। লুসাইল স্টেডিয়ামের হাইভোল্টেজ লড়াই উপভোগে উন্মুখ হয়ে আছে দর্শকরা। শিরোপা জিতে বিদায় নেবেন লিওনেল মেসি, স্বপ্ন আলবিসেলেস্তেদের। অন্যদিকে এমবাপে জাদুতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা ফরাসিদের।

টানা দ্বিতীয় বার বিশ্ব জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে দিদিয়ের দেশঁর দল। এ দিকে আর্জেন্তিনা দলের সামনে টানা ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ-খরা কাটানোর সুযোগ। দিয়েগো মারাদোনার হাত ধরে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে শেষ বার শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্তিনা। মেসির হাত ধরে আর্জেন্তিনা কি পারবে নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ জিততে? নাকি ফরাসিরা টানা দু’বার বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস লিখবে?

আর্জেন্তিনা-ফ্রান্স ২ দলই শিরোপার দাবিদার। অতীতে দুই দল দু’বার করে বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছে। এ বার তৃতীয় শিরোপা জয়ের পথে মেসি ও এমবাপেরা। এ দিকে সব মিলিয়ে ফ্রান্স-আর্জেন্তিনা একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে মোট ১২ বার। এর মধ্যে ছ’বারই জিতেছে আর্জেন্তিনা। ফ্রান্স জিতেছে মাত্র তিনটি। বাকি তিন ম্যাচ ড্র হয়েছে।

বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত তিন বার মুখোমুখি হয়েছে দল দু’টি। এখানেও এগিয়ে রয়েছে আর্জেন্তিনা। ২টিতে জিতেছেন মেসিরা, রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে জিতেছিলেন এমবাপেরা। ২৩ মিনিট- ঠাণ্ডা মাথায় পেনাল্টিতে বল জড়িয়ে দেন মেসি। হুগো লরিস উল্টোদিকে ঝাঁপান। আর মেসি বাঁ-দিকে গোলার মতো শটে আর্জেন্তিনাকে এগিয়ে দেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে মেসির প্রথম গোল।

৩৫ মিনিট- দ্বিতীয় গোল আর্জেন্তিনার। ২-০ আর্জেন্তিনাকে এগিয়ে দিলেন ডি’মারিয়া। গোলের প্রেক্ষাপট তৈরি করলেন সেই মেসিই। ফ্রান্সের রক্ষণের বুক চিড়ে তাঁর বাড়ানো সোনালি পাস পান ম্যাক অ্যালিস্টার। সেখান থেকে বল পান ডি’মারিয়া। দুরন্ত গোল মেসির সতীর্থের। গোল করে কেঁদে ফেলেন ডি’মারিয়া।